<p>বাংলাদেশের শাসন বিভাগঃ<br />রাষ্ট্রপতি : শাসন বিভাগের কার্যক্রম মহামান্য রাষ্ট্রপতির নামে সম্পন্ন হয়। সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালুথাকায় রাষ্ট্রপতি প্রকৃত অর্থে নামমাত্র শাসক। রাষ্ট্রের প্রকৃত প্রশাসনিক ক্ষমতা সরকার প্রধান অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর উপর ন্যস্ত থাকে। তবে রাষ্ট্রের প্রধান হিসাবে রাষ্ট্রপতি সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের দ্বারা। এই সংসদই যে কোন বড় ধরনের ব্যর্থতার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতাচ্যূত করতে পারে। রাষ্ট্রপতি মূলতঃ অলঙ্কারিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সংসদীয় প্রথা অনুযায়ী তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়।<br />প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ :<br />সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী গ্রহণের ফলে বাংলাদেশে যে নির্বাহীর উদ্ভব ঘটে তা হল সংসদীয় নির্বাহী। এখানে প্রধানমন্ত্রীর প্রাধান্য নিশ্চিত করার জন্য নানাবিধ ব্যবস্থা সংবিধানভক্তূ হয়। এই ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত ও অনুেমাদিত না হলে কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে পারেন না। প্রকৃতপক্ষে, সরকার প্রধান হিসেবে বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাহী ক্ষমতা মূলত: প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ন্যস্ত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের প্রধান থাকেন। মন্ত্রিপরিষদ তার সকল কর্মকান্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে। কেননা, প্রধানমন্ত্রী হলেন সংসদ নেতা।<br />উৎসঃ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পেীরনীতি ও সুশাসন দ্বিতীয় পত্র বই (উন্মুক্ত)</p>